টাঙ্গাইলে বাঘিল ও পোড়াবাড়ীতে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি বিক্রির হিড়িক
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করছে প্রভাবশালীর। এতে আশে পাশের ঘরবাড়ী, ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে অবৈধ ট্যাফে ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাকের দাপটে গ্রামীন সড়ক গুলো খানাখন্দকে পরিণত হচ্ছে। তাই অবৈধ মাটি উত্তোলন ও বিক্রির জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাঘিল ইউনিয়নের যুগনির হাটের উত্তর দিকে সিরাজের বাড়ীর পাশে লৌহজং নদীতে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করে ভেকুর মাধ্যমে বিক্রি করছেন আব্দুর রাজ্জাক নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এতে আশে পাশের ঘর বাড়ী গাছ পালা হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও গ্রামীন সড়ক খানাখন্দক হচ্ছে। অবৈধ ড্রেজিং বন্ধের দাবি জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেন রাজ্জাক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, রাজ্জাকের কারনে সরকারি টাকায় উন্নয়ন করার গ্রামীন সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও অবৈধ ট্যাফে ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারনে গ্রামীন সড়ক গুলো ভেঙে যাচ্ছে। বাঁধা দিতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয় রাজ্জাক। তাই জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নদী থেকে ড্রেজিং করে বিভিন্ন সড়কে মাটি ফেলে দিচ্ছি। তবে আমি কোথাও থেকে অনুমতি নেইনি।
বাঘিল ইউনিয়নের শিবপুর ব্রীজের দক্ষিণ পাশে প্রভাবশালী শামীম মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন, নুরুল ইসলাম, ফরহাদ আলী, লাল মাহমুদসহ অনেকেই কয়েক মাস যাবত নদীর পাড় কেটে বিক্রি করছে। এতে অনেকের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে।
এ দিকে পোড়াবাড়ী বাজারের পাশে সোয়া সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ধলেশ্বরী নদীর উপর এক শ মিটার ব্রীজ করা হচ্ছে। সেই ব্রীজের পাশে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে কয়েক মাস যাবত মাটি বিক্রি করছে কাদের জোয়াদার নামের এক প্রভাবশালী ইউপি সদস্য। এতে নির্মানাধীন বীজ, ঘরবাড়ী, ফসলি জমি ও বিদ্যুতের খুটি হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেন কাদের জোয়ারদার।
ইউপি সদস্য কাদের জোয়ারদার বলেন, নদী থেকে মাটি তুলে রাস্তায় দিচ্ছি।
শুধু বাঘিল আর পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন নয়, সদর উপজেলার দাইন্যা, ঘারিন্দা, গালাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছেন প্রভাবশালীরা। নদী, ঘরবাড়ী, ফসলি জমি ও গ্রামীন সড়ক রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান বিন আলী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এম.কন্ঠ/০২ মার্চ/এম.টি