ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
প্রশাসনের সহযোগিতায় মিয়ানমারে অপহৃত কালিহাতীর মনির ফিরলো পরিবারে ঘাটাইলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে আর্থসামাজিক উন্নয়নে ষাঁড় ও বকনা বাছুর বিতরন টাঙ্গাইলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল টাঙ্গাইলে হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল সোনিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারদের সংবাদ সম্মেলন বাসাইলে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সোনালী ব্যাংক টাঙ্গাইল অঞ্চলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে সমন্বয় সভা ও সৌহার্দ্য’র ইফতার মাহফিল যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন, পার হওয়া যাবে সাড়ে ৩ মিনিটে মির্জাপুরে মসদই মাঠে ক্রিকেট ফাইনাল ৩ এপ্রিল

টাঙ্গাইলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লৌহজং নদীর ৩ কিমি পরিস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ১১:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

এক সময়ের টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী খড়স্রোতা লৌহজং নদী পুনঃউদ্ধার ও পানি প্রবাহ স্বাভাবিক এবং দুষণমুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিস্কার করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডিক্লিনের ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর সহযোগিতায় পরিস্কার করা হয়। শহরের হাজরাঘাট এলাকা থেকে বেড়াডোমা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় পরিস্কার করা হয়। সকাল সাড়ে ৯ টায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মো.কায়ছারুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হল আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, বিডিক্লিনের প্রধান সমন্বয়কারী জহিরুল ইসলাম রবি প্রমুখ।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ও রফিকুল মিয়া বলেন, নদী পরিস্কার করায় ডিসিকে ধন্যবাদ জানাই। এভাবে পুরো নদী দখল ও দুষণমুক্ত করা প্রয়োজন।

বিডিক্লিনের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, দেশকে ভালবেশে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। মরা নদী ও খালে ময়লা আবর্জনা দেখলে আমরা স্বেচ্ছায় এসব পরিস্কার করে থাকি। নিজ খরচে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

বিডিক্লিনের প্রধান সমন্বয়ক মো. জহিরুল ইসলাম রবি বলেন, সারাদেশেই বিডিক্লিন কাজ করে থাকে। সারাদেশে ৫৭টি জেলা ও ১৬৫ টি উপজেলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলামের আমন্ত্রণে আমরা এখানে এসেছি। আমরা সকালে কাজ শুরু করেছি। বিকেলের মধ্যে আমরা কাজটি শেষ করে যার যার গন্তব্যে চলে যাবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সদস্যদের মধ্যে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণীর পেশার লোকজন রয়েছে। সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে ও দেশকে ভালবেশে ময়লা নিজের গায়ে মেখে পরিস্কার করছি। প্রাথমিক চিকিৎসাটা আমরা সদস্যদের দিতে পারি।

বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র চন্দ বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুরো নদীর উদ্ধার ও পরিস্কার করা প্রয়োজন। এ কাজকেও আমরা সাধুবাদ জানাই। অস্থায়ী কাজ না করে স্থায়ী কাজ করা প্রয়োজন। দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে। এছাড়াও নদীর উৎসমুখে যে স্লুইজগেট রয়েছে। সেটিও অপসারণ করতে হবে। এছাড়াও কলকারখানার মাধ্যমে যে দূষণ হচ্ছে সেটিও রোধ করতে হবে। সবশেষ নদী খনন করে নদীকে বাচিয়ে রাখতে হবে।

জেলা প্রশাসক সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, শহরের প্রাণ লৌহজং নদীটি মরা পুকুরের মতো পরিণত হয়েছিলো। সকলকে সাথে এর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি। বিডিক্লিনের দুই হাজারসহ প্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবী মিলে এই নদীটি পরিস্কার করছে। এটি চলমান কার্যক্রম হিসেবে রাখা হবে। সকলের সম্বলিত প্রচেষ্টায় লৌহজং নদীকে পূর্বের মতো পানি প্রবাহে ফিরিয়ে আনবো। নদীর দুই পাড়ে যে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে পর্যায়ক্রমে সে গুলোও উচ্ছেদ করা হবে।

সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন বলেন, লৌহজং নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সংসদে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। ডিপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে মির্জাপুর অংশে কাজ চলমান রয়েছে। আগামীতে ডিপিপির মাধ্যমে পুরো নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পারবো। এই নদীকে একটি নান্দনিক নদী ও একটি সৌন্দর্য বর্ধনের জায়গা যাতে পরিণত হয় সেই লক্ষ নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অল্প দিনের মধ্যে আমরা দৃশ্যমান করতে পারবো।

এম.কন্ঠ/০২ মার্চ/এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লৌহজং নদীর ৩ কিমি পরিস্কার

প্রকাশ: ১১:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

এক সময়ের টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী খড়স্রোতা লৌহজং নদী পুনঃউদ্ধার ও পানি প্রবাহ স্বাভাবিক এবং দুষণমুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিস্কার করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডিক্লিনের ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর সহযোগিতায় পরিস্কার করা হয়। শহরের হাজরাঘাট এলাকা থেকে বেড়াডোমা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় পরিস্কার করা হয়। সকাল সাড়ে ৯ টায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মো.কায়ছারুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হল আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, বিডিক্লিনের প্রধান সমন্বয়কারী জহিরুল ইসলাম রবি প্রমুখ।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ও রফিকুল মিয়া বলেন, নদী পরিস্কার করায় ডিসিকে ধন্যবাদ জানাই। এভাবে পুরো নদী দখল ও দুষণমুক্ত করা প্রয়োজন।

বিডিক্লিনের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, দেশকে ভালবেশে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। মরা নদী ও খালে ময়লা আবর্জনা দেখলে আমরা স্বেচ্ছায় এসব পরিস্কার করে থাকি। নিজ খরচে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

বিডিক্লিনের প্রধান সমন্বয়ক মো. জহিরুল ইসলাম রবি বলেন, সারাদেশেই বিডিক্লিন কাজ করে থাকে। সারাদেশে ৫৭টি জেলা ও ১৬৫ টি উপজেলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলামের আমন্ত্রণে আমরা এখানে এসেছি। আমরা সকালে কাজ শুরু করেছি। বিকেলের মধ্যে আমরা কাজটি শেষ করে যার যার গন্তব্যে চলে যাবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সদস্যদের মধ্যে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণীর পেশার লোকজন রয়েছে। সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে ও দেশকে ভালবেশে ময়লা নিজের গায়ে মেখে পরিস্কার করছি। প্রাথমিক চিকিৎসাটা আমরা সদস্যদের দিতে পারি।

বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র চন্দ বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুরো নদীর উদ্ধার ও পরিস্কার করা প্রয়োজন। এ কাজকেও আমরা সাধুবাদ জানাই। অস্থায়ী কাজ না করে স্থায়ী কাজ করা প্রয়োজন। দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে। এছাড়াও নদীর উৎসমুখে যে স্লুইজগেট রয়েছে। সেটিও অপসারণ করতে হবে। এছাড়াও কলকারখানার মাধ্যমে যে দূষণ হচ্ছে সেটিও রোধ করতে হবে। সবশেষ নদী খনন করে নদীকে বাচিয়ে রাখতে হবে।

জেলা প্রশাসক সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, শহরের প্রাণ লৌহজং নদীটি মরা পুকুরের মতো পরিণত হয়েছিলো। সকলকে সাথে এর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি। বিডিক্লিনের দুই হাজারসহ প্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবী মিলে এই নদীটি পরিস্কার করছে। এটি চলমান কার্যক্রম হিসেবে রাখা হবে। সকলের সম্বলিত প্রচেষ্টায় লৌহজং নদীকে পূর্বের মতো পানি প্রবাহে ফিরিয়ে আনবো। নদীর দুই পাড়ে যে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে পর্যায়ক্রমে সে গুলোও উচ্ছেদ করা হবে।

সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন বলেন, লৌহজং নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সংসদে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। ডিপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে মির্জাপুর অংশে কাজ চলমান রয়েছে। আগামীতে ডিপিপির মাধ্যমে পুরো নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পারবো। এই নদীকে একটি নান্দনিক নদী ও একটি সৌন্দর্য বর্ধনের জায়গা যাতে পরিণত হয় সেই লক্ষ নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অল্প দিনের মধ্যে আমরা দৃশ্যমান করতে পারবো।

এম.কন্ঠ/০২ মার্চ/এম.টি