যমুনা রেল সেতুতে ১২০ কি.মি. বেগে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল
চলতি মাসের শেষ অথবা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। তাই রোববার রেল সেতুর উপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন চলাচল করেছে। মেধা, শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে কাজ করে ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারায় উচ্ছ্বাসিত প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয়রা বলছেন সেতুটি চালু হলে ব্যবসায় নতুন মাত্রা যোগের স্থানীয়দের ভোগান্তি লাঘব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল সাড়ে ৯ টায় হুইসাল বাজিয়ে চারটি কোচ ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে একযোগে রেল সেতুতে ট্রেন চলাচল করে। প্রথম পর্যায়ে ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন দুটি পারাপারের পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপর ৬০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে।
তারা আরও জানান, সেতুটি পুরোপুরি চালু হলে ঘন্টায় ব্রডগেজ ট্রেন ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার ও মিটারগেজ ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের সময় বাঁচানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মালবাহী ট্রেন চলাচলের করার কথা রয়েছে এ সেতুতে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটি চালুর পর উভয়প্রান্তের স্টেশনে রেল ক্রচিং এর সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যেও আরও গতি ফিরবে। এছাড়াও দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে জানালেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
যমুনাবহুমখী সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীণ ৪.৮ কিলোমিটার যমুনা রেলওয়ে সেতু জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। রেল সেতুটি চালু হলে একদিকে যেমন যাত্রীদের সময় বাঁচবে, অন্যদিকে যমুনা বহুমুখী সেতুতে প্রেশার কমবে।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান বলেন, প্রকল্পের ডিজাইন, ঠিকাদার সবই আন্তর্জাতিক মানের। সোমবার জাইকার কর্মকর্তা, সেতুর কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে চুড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল করা হবে। ট্রায়াল সন্তুষ্ট হলে সরকার সময় দিলে ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি সময়ে সেতুর উদ্বোধন করা হবে।
এম.কন্ঠ/ ০৫ জানুয়ারী /এম.টি