ক্যানসার আক্রান্ত সাংবাদিক রবিন বাঁচতে চায়, সবার কাছে সহায়তার আবেদন
দি ডেইলি পোস্ট এর টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি রবিন তালুকদার মরন ব্যাধি থাইরয়েড ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং নিয়মিত ওষুধ সেবন করছেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা।
পরিবারের সূত্রে জানাযায়, রবিন ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লক সি-এর নাক কান গলা বিভাগের ৭ম তলার ৭৩৫ নং কক্ষের পেয়িং বেড-১ এ ভর্তি হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) তার অপারেশন সম্পন্ন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান, গলা বিভাগের সার্জন প্রফেসর আবুল হাসনাথ জোয়ার্দার।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, এ রোগ নির্ণয়ের টেস্ট বাবদ ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে তার প্রায় ৪০ হাজার টাকা এবং অপারেশন বাবদ খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও অপারেশন পরবর্তী সময়ে তার আরো বেশ টাকা ব্যয় হয়। আনুমানিক ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
রবিন তালুকদার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের উত্তর তারটিয়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম তালুকদারের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার বড় ভাই ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। মা আর ছোট দুই ভাই নিয়েই তার সংসার। রোগমুক্তি কামনায় সকলের দোয়া কামনা করেছেন তিনি।
রবিন তালুকদার বলেন, ততকালিন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম স্যার আমার ক্যানসার কথা যেনে আমাকে ২০হাজার টাকা সহযোগীতা করেছিলেন। পাশাপাশি পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ২০হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়ে রবিন বলেন, আমার এক কন্যা সন্তান রয়েছে। নিজের জমানো টাকা ও স্বজনদের সহয়তায় এখন চিকিৎসা চলছে। দুটি রেডিও থেরাপি ইমপালস ক্যানসার হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচটি থেকে ছায়টি রেডিও থেরাপি লাগবে। এখন চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ হলে আবার হাসপাতালে গিয়ে রেডিও থেরাপি নেয়া যাযে।
রবিন তালুকদার আরও বলেন, ক্যানসারের অত্যন্ত চিকিৎসা ব্যয়বহুল। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই আমার বা পরিবারের। তাই সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
রবিন তালুকদারকে বিকাশ ও নগদে সহায়তা পাঠানো যাবে: নম্বর-০১৭৫২৩০৭৭৯৫ (বিকাশ পার্সনাল) এবং -০১৭৫২৩০৭৭৯৫ (নগদ পার্সনাল)।
এম.কন্ঠ/২৮ মার্চ/এম.টি