ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণ কাজ, লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি

মজলুমের কন্ঠ
প্রকাশ: ০৩:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে তিন বছরেও শেষ হয়নি ‘খাকুরিয়া সেতুর’ নির্মাণকাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় নির্ধারিত সময়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ৪১ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ব্রিজটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে একাংশ ভেঙে যাওয়ার পর ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মাসে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ৪ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৪ টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ পান ‘ঢাকা এসই সাদিয়া অ্যান্ড সামিয়া জয়েন্টভেঞ্চার’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করে স্থানীয় সাইফুল ইসলামকে কাজটি করার জন্য সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করে। অনভিজ্ঞ ওই সাব-ঠিকাদার বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই মেয়াদোত্তীর্ণ ব্রিজটি ভাঙা শুরু করেন। পরে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে কাদা মাটি দিয়ে একটি রাস্তা তৈরি করে দিলেও কিছুদিন কাজ করার পর অজ্ঞাত কারণে ব্রিজের কাজ ফেলে উধাও হয়ে যান ওই সাব ঠিকাদার। বর্তমানে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে ২০২২ সালে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সাব ঠিকাদারের অবহেলার কারণে এখনো কাজটি শেষ হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, কাঙ্ক্ষিত খাকুরিয়া সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়াতে আমরা বেশ খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিন বছরেও কাজ শেষ করতে না পারায় আমরা হতাশ হয়েছি। অনেকদিন ধরে নির্মাণ কাজ একদম বন্ধ তাতে ৫ বছরে কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। তিন বছরের অধিক সময় ধরে ব্রিজ না থাকায় লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে জানান তারা। ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত ব্রিজের কাজ শেষ করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হেপলু বলেন, প্রায় তিন বছর যাবৎ ব্রিজটি এভাবে পড়ে আছে। মানুষ খুব ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ঠিকাদারকে বার বার চাপ দিয়েও কোনো লাভে হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদার সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা প্রকৌশলী এ. কে. এম হেদায়েত উল্ল্যাহ জানান, খাকুরিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান আছে। প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। মূল ঠিকাদার জেলে থাকার কারণে এ অসুবিধা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে খুব দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে বলে আশা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

তিন বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণ কাজ, লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি

প্রকাশ: ০৩:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে তিন বছরেও শেষ হয়নি ‘খাকুরিয়া সেতুর’ নির্মাণকাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় নির্ধারিত সময়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ৪১ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ব্রিজটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে একাংশ ভেঙে যাওয়ার পর ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মাসে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ৪ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৪ টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ পান ‘ঢাকা এসই সাদিয়া অ্যান্ড সামিয়া জয়েন্টভেঞ্চার’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করে স্থানীয় সাইফুল ইসলামকে কাজটি করার জন্য সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করে। অনভিজ্ঞ ওই সাব-ঠিকাদার বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই মেয়াদোত্তীর্ণ ব্রিজটি ভাঙা শুরু করেন। পরে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে কাদা মাটি দিয়ে একটি রাস্তা তৈরি করে দিলেও কিছুদিন কাজ করার পর অজ্ঞাত কারণে ব্রিজের কাজ ফেলে উধাও হয়ে যান ওই সাব ঠিকাদার। বর্তমানে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে ২০২২ সালে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সাব ঠিকাদারের অবহেলার কারণে এখনো কাজটি শেষ হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, কাঙ্ক্ষিত খাকুরিয়া সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়াতে আমরা বেশ খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিন বছরেও কাজ শেষ করতে না পারায় আমরা হতাশ হয়েছি। অনেকদিন ধরে নির্মাণ কাজ একদম বন্ধ তাতে ৫ বছরে কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। তিন বছরের অধিক সময় ধরে ব্রিজ না থাকায় লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে জানান তারা। ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত ব্রিজের কাজ শেষ করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হেপলু বলেন, প্রায় তিন বছর যাবৎ ব্রিজটি এভাবে পড়ে আছে। মানুষ খুব ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ঠিকাদারকে বার বার চাপ দিয়েও কোনো লাভে হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদার সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা প্রকৌশলী এ. কে. এম হেদায়েত উল্ল্যাহ জানান, খাকুরিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান আছে। প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। মূল ঠিকাদার জেলে থাকার কারণে এ অসুবিধা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে খুব দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে বলে আশা করছি।